Skip to main content

Posts

শুভ্রা সাহার ছোটগল্প। লকডাউন।

গল্পকারের কন্ঠে গল্প পাঠ। গল্পের নাম : লক ডাউনের গল্প গল্পকারের কন্ঠে গল্প পাঠ। গল্পের নাম : লক ডাউন গল্পকারের কন্ঠে গল্প পাঠ। গল্পের নাম : লক ডাউনের গল্প আলোচিতা এখন আর আগের মতো বোর হয় না। ঘরে বসেই ছোট বোন সঞ্চিতাকে নিয়ে অনলাইনে গান, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প, বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে সময় কাটিয়ে দেয়। লকডাউন-এ পড়ে কি যে নাজেহাল অবস্থা সকলের! মাত্র কয়েকদিন আগে, দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরেছে সে। তখন তো ওর আসার কথাই ছিল না। হঠাৎ বাবার হার্ট অ্যাটাক হওয়াতেই আসতে হলো। আলোচিতা অর্থাৎ আলো। আর সঞ্চয়িতা অর্থাৎ সঞ্চিতা। ওরা দু'বোন। বাবা বিরাজবাবু স্কুলের শিক্ষক। মা রূপালি দেবী গৃহিণী। আলো দিল্লিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেছে গতবছর। সঞ্চিতা দ্বাদশ শ্রেণীতে। শিক্ষকতা করার সুবাদে আলোর বাবা বিরাজ বাবুর এলাকায় যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। ওদের এলাকায় হিন্দু মুসলিমের সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। বিরাজ বাবুর অনেক মুসলিম ছাত্রও আছে, যারা প্রায়ই ওনার কাছে আসে। বিভিন্ন মতামতের জন্য। বিরাজবাবু বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। সুনাম

আলী হোসেনের ছোটগল্প। খালি চেয়ার।

খালি চেয়ার : এই আছে এই নেই। সংসারের অমোঘ নিয়মে অহরহই ঘটে এমন ঘটনা। আমার ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটলো। এই তো, এই হল আমার চেয়ার। আমি মানে নিখিলেশ সাধু। আর-সকলের নিখিল। আমার চেয়ারটা যে ফাঁকাই পড়ে আছে দেখছি! কেউ কি বসে না এখানে? কেন? আমি কি ওদের কাছে অচ্ছুৎ হয়ে গেলাম? না না, এমন ভাবতে পারে, মনে হয়নি তো কখনও! আয়তাকার তিনটি টেবিল লম্বালম্বি করে বসানো। দৈঘ্য বরাবর দু’পাশে পরপর চেয়ার পাতা। সেখানেই সবাই বসে। প্রস্থ বরাবর পুবদিকে আমি, আর আমার উল্টোদিকে সুমন। আমার ডানদিকে দৈর্ঘ্য বরাবর বসে সীমা। দারুন সেজেগুজে অফিসে আসে আজকাল। চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় নাকি খুবই সাদামাটা ছিল ও, আর পাঁচটা মেয়ের মতই। বয়স চল্লিশের কোঠা যখন ছুঁই-ছুঁই, সাজগোজের বহরটা কবে কবে বেড়ে গেল। উগ্র না হলেও নারী-স্বাধীনতা বিষয়ে বেশ সচেতন। আমি জানি, এরা সবাই আমাকে খুব ভালোবাসে। বিশেষ করে সীমা। হতে পারে সেটা আমার পেটরোগা দুর্বল শরীরের জন্য। হতে পারে মেয়েদের সহজাত করুণাশ্রিত আবেগই তার কারণ। আমি ভাবি, ব্যাক্তি-কেন্দ্রিক নগরজীবনে সেটাই কি কম? ও-ও-ই ওই-যে দক্ষিণ পাশে শর্ট হাইটের গাট্টাগোট্টা চেহারার মানুষটা, ওর নাম প্রেম নাথ। মজা করে সবাই বলে, ম

রাজার জন্ম। সুজন ভট্টাচার্য-এর ছোটগল্প।

সুজন ভট্টাচার্য - হুম! নিতাই, চলবে। নকুল মাস্টার ঘাড় নেড়ে বলেন। চেহারাটা মানানসই; বাকিটা আমি পড়িয়ে নেব। আক্রমপুর বাজার সমিতির উদ্যোগে জন্মাষ্টমীর রাতে বাজারের পাশের মাঠে হবে যাত্রাপালা ‘কুরুক্ষেত্র’। এ বছরই প্রথম। ফলে বাজারের পাকা দোকান আর হাটচালার সকলেরই প্রবল উৎসাহ। মাসদুয়েক আগে সারের দোকানের নিতাইদাই প্ল্যানটা বাৎলায়। দত্তপুকুরে সম্বুন্ধির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে এমন এক এলাহি ব্যাপার দেখে তারও মগজে খেলে যায়, ওরা পারলে আমরাও পারব না কেন! ব্যাস! খুঁজেপেতে বড়বড়িয়ার নকুল মাস্টারকেও যোগাড় করে ফেলা হল। সে নাকি এককালে অনেক পালা করেছে। সেই হল মাস্টার; বাকিদের তালিম দিয়ে শিখিয়ে-পড়িয়ে নেবে। এমনিতে গদাধরের যাত্রা করার কোন ইচ্ছে ছিল না। সবজির দোকান চালায় বলে অনেক ভোরেই ওকে উঠতে হয়। রাতজেগে মহলা দিয়ে ভোরে ওঠা খুব কষ্টকর। তাই ও আর ঐদিক মাড়ায় নি। কিন্তু এক রোববার নকুল মাস্টারকে নিয়ে নিতাইদা ওর চালায় এসে হাজির। নকুল মাস্টার ওকে যে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে, স্পষ্ট বুঝতে পারে গদাধর। ব্যাপারটা কি! - অ্যাই গদা, ইদিকে আয়। নিতাইদা হাঁক পাড়ে। হাজার হলেও পয়সাওলা লোক; তারপর বয়েসেও অনেক