Skip to main content

রাহুল মজুমদার


কবিতা


দুর্যোধন সামন্তের বাড়ির বৈঠকখানায় বসে ভীষণ বিরক্ত লাগছিল পরমের দুর্যোধনের চাকর তাকে বসিয়ে রেখে তার মনিবকে বাড়ির ভিতর খবর দিতে গেল কিন্তু ফিরে আসবার আর নাম করে না. প্রায় এক ঘন্টা হয়ে গেল, বসে রয়েছে পরম এমনিতেই দুর্যোধনের বাড়িতে আসবার কোনো প্রয়োজনই ছিল না তার, আসতে হল ছাত্রছাত্রীদের মুখ চেয়ে কলকাতা থেকে প্রায় পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার দুরের গৌরমোহন ভাদুড়ি মহাবিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক পরম অর্থাৎ পরমব্রত সেনগুপ্ত থাকে কলকাতায়, ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ থেকে মালতীপুর স্টেশন এসে নামে সে তারপর সেখান থেকে ভ্যানরিক্সা ধরে তিন কিলোমিটার দুরের কলেজে যেতে হয়


অধ্যাপনার পাশাপাশি পরম কবিতাও লেখে তবে কবি হিসাবে তার প্রচার নেই, প্রতিষ্ঠাও কম আসলে পরম নিজেও প্রচার বা প্রতিষ্ঠা কোনটাই চাই না বললেই চলে কবিতা সে ভালবাসে ঠিকই কিন্তু সেই ভালবাসার বিনিময়ে সে কবিতার কাছ থেকে কোন কিছু আশা করে না মাঝে মধ্যে তার কবিতা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, পাঠক ও সমালোচকের প্রশংসাও পায়, এটাকেই সে যথেষ্ট মনে করে তবে এটুকুও না পেলে তার তেমন ক্ষতি নেই, কবিতা লেখাতেই তার আনন্দ

শুধু একটা শখ রয়েছে পরমের প্রতি বছর নিজের লেখা কবিতাগুলি দিয়ে ছোট একটা সংকলন বের করে সে তবে এর উদ্দেশ্য একেবারেই বানিজ্যিক নয় কবিতার বই বের করতে প্রতি বছরই যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করে পরম কিন্তু বইগুলো সে বিক্রি করে না, যারা প্রকৃত কবিতাপ্রেমী ও সমঝদার তাদের উপহার হিসাবে সেগুলো দান করে স্ত্রী পর্না মাঝে মাঝে এই নিয়ে মৃদু অনুযোগ করে কিন্তু পরম তাতে তেমন গুরত্ব দেয় না, যদিও অনান্য প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই তারা সহমতের ভিত্তিতেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাংসারিক সিধান্ত গ্রহণ করে থাকে

প্রায়ই বিভিন্ন কবি সম্মেলনে কবিতা পাঠের জন্যে ডাক পায় পরম; তবে সেই সব সভায় বড় একটা যায় না সে কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই যে দুর্যোধন সামন্তের বাড়িতে পরম এসেছে কবি সম্মেলনের জন্য সাহায্যের আশায়, আসলে তার কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আবদার করেছে তারা ধুমধাম করে একটা কবি সম্মেলেন করবে যাতে বাংলার বহু প্রখ্যাত কবিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিন্তু কলেজের আর্থিক সামর্থ্য সেই ব্যায়ভার বহনের পক্ষে যথেষ্ট নয় তাই সহকর্মীদের পরামর্শে এবং ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধে দুর্যোধনের বৈঠকখানায় পরমব্রতের আগমন দুর্যোধন এই অঞ্চলের এক অতি ধনী ব্যবসাদার স্বনামে ও বেনামে তার বিপুল সম্পত্তি, আইনসম্মত ও বেআইনী উভয় পথেই তার অর্থ রোজগার হয়ে থাকে স্থানীয় নেতা থেকে পুলিশ সমস্ত মহলেই তার পরিচিতি ও ঘনিষ্টতা শোনা যায় সে আগামী নির্বাচনে শাসকদলের হয়ে বিধায়ক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে দুর্যোধনের একমাত্র ছেলে পরমব্রতের কলেজেই পড়ে কোনক্রমে উচচমাধ্যামিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে বাবার অর্থ আর প্রতিপত্তির অহংকারে, তার অহংকারের শেষ নাই তাই দুর্যোধনের থেকে কবি সম্মেলনের জন্য আর্থিক সাহায্য চাওয়ার কোন ইচ্ছাই তার ছিল না বললেই চলে কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহভরা মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে তাদের অনুরোধ ফেলতে পারেনি

কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও যখন দুর্যোধনের দেখা পেল না পরম তখন ঠিক করলো চলে যাবে চেয়ার ছেড়ে উঠতে যাবে এমন সময় দুর্যোধনের আবির্ভাব পরমকে দেখে বেশ অপ্রসন্নভাবে জিজ্ঞাসা করল সে কেন এসেছে? পরম সংক্ষেপে তার আগমনের কারণ জানাতেই দুর্যোধন বলে উঠল, ‘কিন্তু স্যার, আমি চার ক্লাস পর্য্যন্ত পড়েছি, আর তার মধ্যে চারটি কবিতাও পড়েছি কি না সন্দেহ পড়ে থাকলেও সেগুলো সব ভুলে মেরে দিয়েছি কিন্তু তাও দেখুন এই বিপুল সম্পত্তি তৈরী করতে আমার কোন সমস্যা হয়নি অথচ দেখুন বহু শিক্ষিত কবিতা পড়া মানুষ আমার অধীনে কাজ করে আমি পয়সা দি বলে তারা খেতে পায় তাই কবিতা পড়ে লাভ কি বলুন তো’ নিজের জীবনে বহু ধনী মানুষ দেখেছে পরম কিন্তু কারো মধ্যে এমন ঔদ্ধত্য দেখেনি এমনিতে শান্তিপ্রিয় প্রকৃতির হলেও পরমের মনে হল কবিতার এই অপমানের প্রতিবাদ হওয়ার দরকার তার ব্যাগের মধ্যে নতুন প্রকিশিত হওয়া কবিতার বইটি ছিল সে জানত তার গভীর অনুভবের কবিতাগুলোর রসাস্বাদন করা দুর্যধানের মত মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় ব্যাগ থেকে কবিতার বইটি বের করে দুর্যোধনের হাতে ধরিয়ে দিল পরম বলল, “আপনার মত কীর্তিমান মানুষের জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা সামন্য উপহার” তারপর তাকে আর কিছু বলবার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত পায়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল সে হাতে বইটা নিয়ে হতবাক হয়ে দাড়িয়ে রইলো দুর্যোধন বোঝার চেষ্টা করছিল এটা সম্মান না কি অপমান

দুর্যোধনের বাড়ি থেকে বের হয়েই একটা সাইকেল ভ্যান পেয়ে তাতে চেপে বসলো পরম মাথাটা ভীষণ গরম হয়ে রয়েছে তার উপর গ্রীষ্মের প্রখর সূর্য্য অত্যন্ত নিদারুনভাবে অগ্নিবার্ষণ করে চলেছে খুব কষ্ট করে স্টেশনে এলো সে মাথাটাও ধরে রয়েছে ভাবল যদি একটু চা পায় তাহলে হয়ত চা খেলে মাথাধরাটা ছেড়ে যাবে কিন্তু এই রোদে কি চায়ের দোকান খোলা পাওয়া যাবে? ভাবতে ভাবতে প্লাটফর্মের দিকে এগিয়ে চলল পরম দেখতে পেল সমস্ত চায়ের দোকানের ঝাঁপ বন্ধ থাকলেও সে রোজ বিকেলবেলা বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরার সময়ে যে দোকান থেকে চা খায় সেটা তখন খোলা রয়েছে দোকানে গিয়ে দোকানের মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করল “কি ব্যাপার, এখনো এই দুপুরে দোকান খোলা রেখেছেন, বাড়ি যাননি?” মেয়েটি বলল “এখন তো দোকানটাই আমার ঘরবাড়ি স্যার এখানেই তো সবসময় থাকি” পরম দেখল চায়ের দোকানের ভেতরটা অত্যন্ত সংকীর্ণ ও অপরিসর অতি কষ্টে একজন মানুষ থাকলেও থাকতে পারে, দুজনের পক্ষে থাকা অসম্ভব সে জিজ্ঞাসা করল “কিন্তু আপনার স্বামী কোথায় থাকেন?”

মেয়েটি ম্লান হেসে বলল, “তিনি বাড়িতে থাকেন” পরম খুব অবাক হল; কথাটার অর্থ সে ঠিক বুঝতে পারল না তখন মেয়েটি বলল, “তিনি আমাকে ত্যাগ করে আরেকটি বিয়ে করেছেন নতুন বউকে নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকেন; আর আমার ঠাঁই হয়েছে দোকানে” পরম বলল, “আপনি মেনে নিলেন? প্রতিবাদ করলেন না?” মেয়েটি বলল “প্রতিবাদ করে কি লাভ স্যার তবে আমার স্বামীকে দোষ দেওয়া যায় না আমার তো সন্তান হল না সকলে বলল বংশরক্ষার জন্য ওর আরেকটা বিয়ে করার দরকার তাদের কথা ও ফেলতে পারেনি তাই বিয়ে করেছে একটা ষোল বছরের মেয়েকে

মেয়েটির চোখের কোনে জল চিকচিক করছিল এমনিতে তার মুখশ্রী অত্যন্ত সুন্দর, নাক চোখ মুখের সমস্ত কিছুরই গড়নই অত্যন্ত সুন্দর গায়ের রং সামান্য চাপা কিন্তু তাতেই যেন তার মুখমন্ডলের সৌন্দর্য আরো বেড়ে গিয়েছে সে শুধু নিজে সুন্দর নই, সমস্থ দোকানটাকে সে অত্যন্ত সুন্দরভাবে সাজিয়ে রেখেছে খরিদ্দারদের সঙ্গে তার ব্যবহারও অত্যন্ত মধুর| তাই স্টেশন চত্বরে এই দোকানেই ভিড় সবচেয়ে বেশী লেখাপড়া সে হয়তো তেমন জানে না, হালফ্যাশনের সাজপোশাকের কায়দাকানুন হয়তো তার জানা নেই কিন্তু তার সৌন্দর্যের সঙ্গে এমন একটা মার্জিত রুচির মিশেল ঘটেছে যার ফলে সে সকলের কাছে অনন্যা হয়ে উঠেছে মেয়েটি চা অসাধারণ বানায় তবে পরমের স্বীকার করতে লজ্জা নেই যে শুধু দোকানের চা নয়, দোকানের মালকিনও পরমের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু সে ভাবছিল গতকাল বিকেল সে এই মেয়েটি ও তার স্বামীকে একসঙ্গে দোকানের খরিদ্দারদের সামলাতে দেখেছে তখন তাদের সুখী দম্পতির প্রতিমূর্তি বলেই মনে হয়েছিল পরমের কিন্তু এখন তার আড়ালের প্রকৃত সত্যিটা সামনে আসতেই পরমের সেই আপ্ত বাক্যটার কথা মনে পরে গেল “চকচক করলেই সোনা হয় না” এই সমস্ত কথা ভাবতে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিল পরম চমক ভাঙ্গলো মেয়েটির ডাকে “স্যার, চা খাবেন তো?” তার খেয়াল হল চায়ের অর্ডার দেওয়া হয়নি সে মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলতেই মেয়েটি তাকে কেটলি থেকে চা ঢেলে একটা মাঠির ভাঁড় এগিয়ে দিল সঙ্গে পরমের প্রিয় বিস্কুটটাও দিল একটা কাগজে পরিপাটি করে জড়িয়ে বিস্কুটটা কাগজ জড়িয়ে দেবার মধ্যে যে যত্নের স্পর্শ ছিল তা পরমের মনকে ছুঁয়ে গেল দাম্পত্য জীবনে অত্যন্ত সুখী পরম পর্নার জায়গায় অন্য কোনো মেয়েকে বসানোর কথা ভাবতেই পারে না সে তবু কেন যেন তার মনে হল এই মেয়েটিকে কিছু একটা উপহার দেওয়া উচিত মনে পড়ে গেল ব্যাগে লেখা কবিতার বইটির কথা, সেটি বের করে মেয়েটির হাতে দিল পরম বলল, “এইটা আমার লেখা একটা কবিতার বই আপনাকে দিলাম” মেয়েটি অবাক হয়ে হয়ে গেল, বলল, “কিন্তু স্যার, লেখাপড়া তো তেমন জানি না কবিতা পরে কেমন করে বুঝব?” “যাই হোক, তবু রেখে দিন, আমার ভালো লাগবে” অত্যন্ত যত্ন করে বইটাকে একটা তাকের উপর রেখে দিল সে ততক্ষনে তার ট্রেন প্লাটফর্মে ঢুকে পড়েছে চায়ের দাম মিটেয়ে ট্রেনে উঠে পড়ল পরম ট্রেন একেবারে ফাঁকা, জানলার ধারে একটা সিটও পেয়ে গেল ট্রেন চলতে শুরু করল জানলা দিয়ে ঠান্ডা হওয়া এসে স্নিগ্ধ করল পরমের শরীরকে সে ভাবছিল মানুষের কি আশ্চর্য সৃষ্টি এই কবিতা কত বিচিত্র তার ব্যবহার, কখনও প্রতিবাদের হাতিয়ার. কখনো বা প্রেমের ফুল
------------------

Comments

Popular posts from this blog

আলী হোসেনের ছোটগল্প। এক এক্কে এক।

এক এক্কে এক : ছোট্ট বেলা নামতা পড়ার সময় এভাবেই শুরু করত মান্তু। তখন জানতো না কি এর মানে, কেনই বা পড়তে হয়। মা বলতেন, নামতা হল অঙ্কের মাথা। কিম্বা মেরুদণ্ডও বলতে পারিস। এটা ঠিকঠাক না শিখলে অঙ্ক মেলে না। যখন প্রাথমিক স্কুল ছেড়ে মাধ্যমিকে পৌছেছে, তখন মায়ের কথার মানে বুঝেছে মান্তু। কিন্তু পরিণত বয়সে এসে, আজ বুঝেছে এর অন্য মানে। এটা না জানলে, জীবনের মানেটাই পালটে যায়। মিলতে চায় না জীবনের অঙ্কটাও। মান্তু তখন ক্লাস এইটে। হঠাৎই দুঃসংবাদটা এলো। ক্লাসে সেলাই দিদিমনি, ফ্রেঞ্চনটের গীট ধরে আটকানোর চেষ্টা করছেন। বোঝাচ্ছেন, কিভাবে একে কব্জা করতে হয়। মান্তু কিছুতেই এই গিঁটকে কব্জা করতে পারছেনা। মাথার ওপর বোঁবোঁ করে ঘুরছে পাখা, অথচ ঘামের স্রোতে ভাঁটার টান নেই মোটেও। বাইরের বাতাসে উত্তাপের পারদ নিশ্চয়ই লু-লেবেল ছাড়িয়েছে। বাতাসের শুষ্ক বুকে তরঙ্গ তুলে সে ছুটে চলেছে শরীর জুড়াতে আন্য কোথাও, অন্য কোনখানে। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে চাঁদনি থেকে দোকানের মাল নিয়ে ফিরছিল ফারহাদ। হঠাৎই চরকির মত ঘুরে গেল মাথাটা। পিচ-গলা রাস্তায় আছড়ে পড়লো মস্ত শরীর। পথ-চলতি নজর চকিতে ঘুরে এল ফারহাদের দিকে। কে বলে কলকাতার হৃদয়ে উষ্ণতার অভা

শুভ্রা সাহার ছোটগল্প। লকডাউন।

গল্পকারের কন্ঠে গল্প পাঠ। গল্পের নাম : লক ডাউনের গল্প গল্পকারের কন্ঠে গল্প পাঠ। গল্পের নাম : লক ডাউন গল্পকারের কন্ঠে গল্প পাঠ। গল্পের নাম : লক ডাউনের গল্প আলোচিতা এখন আর আগের মতো বোর হয় না। ঘরে বসেই ছোট বোন সঞ্চিতাকে নিয়ে অনলাইনে গান, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প, বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে সময় কাটিয়ে দেয়। লকডাউন-এ পড়ে কি যে নাজেহাল অবস্থা সকলের! মাত্র কয়েকদিন আগে, দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরেছে সে। তখন তো ওর আসার কথাই ছিল না। হঠাৎ বাবার হার্ট অ্যাটাক হওয়াতেই আসতে হলো। আলোচিতা অর্থাৎ আলো। আর সঞ্চয়িতা অর্থাৎ সঞ্চিতা। ওরা দু'বোন। বাবা বিরাজবাবু স্কুলের শিক্ষক। মা রূপালি দেবী গৃহিণী। আলো দিল্লিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেছে গতবছর। সঞ্চিতা দ্বাদশ শ্রেণীতে। শিক্ষকতা করার সুবাদে আলোর বাবা বিরাজ বাবুর এলাকায় যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। ওদের এলাকায় হিন্দু মুসলিমের সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। বিরাজ বাবুর অনেক মুসলিম ছাত্রও আছে, যারা প্রায়ই ওনার কাছে আসে। বিভিন্ন মতামতের জন্য। বিরাজবাবু বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। সুনাম

সুদীপ্ত ভাস্কর দত্তের ছোটগল্প। ২০২১ : করোনার পরে।

audio testing গল্পকারের কণ্ঠে গল্প পাঠ  ২০২১ : করোনার পরে নদীর জলটা এত টলটলে, পরিষ্কার আগে দেখিনি কোনদিন! পাড়ে বসে একটা মুগ্ধতা নিয়ে স্বগতোক্তি করল অরুণ। বসন্তের আরম্ভে এই মৃদুমন্দ বাতাসটা প্রাণ জুড়িয়ে দিচ্ছিল।। পড়ন্ত বিকেলে নির্জন নদীর তীরে, গাছের পাতার আড়াল থেকে একটা বউ কথা কও মাঝে মাঝে ডেকে উঠছিল। করোনা মহামারী রোধের চেষ্টায় সারা পৃথিবী জুড়ে যে লক ডাউন চলেছিল, তার ফলেই প্রকৃতি এখন দূষণমুক্ত, নির্মল।