বিট্টূ ও তার আমের আঁটি প্রতিদিনের মতো আজ বিট্টু যখন গড়িয়ার তালতলায় চায়ের দোকানে কাজ করতে যাচ্ছিল তখন গনেশ ভবনের গেটের বাইরে একটা পাকা আম কুড়িয়ে পায়। বিট্টুদের বাদামতলার বাড়ির পাশে গনেশ ভবন, উচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হর জেঠুর নিজের বাড়ি। বাড়ির ভেতরে চারপাশে আম, জামরুল, কাঁঠাল, বাতাবি লেবুর গাছ। বিট্টু ভাবল গতকাল রাতের ঝড়বৃষ্টিতে হয় তো আমটা পড়েছে। বেশ কয়েকদিন যাবৎ আমগুলিতে পাক ধরেছে। বিট্টু তা লক্ষ্য করেছে। বিট্টু জানে হর জেঠু পাকা আম পাড়ে না, কোন এক ছুটির দিনে কোন গেছো লোককে গাছে উঠিয়ে আমগুলি পেড়ে নেয়। পাড়ার কোন ছেলের আম পাড়ার ক্ষমতা নেই, কেননা রাতে গনেশ ভবনের গাড়ি-বারান্দার নিচে বুদ্ধ দারোয়ান পাহারা দেয়। আর দিনের বেলা হর জেঠূ গাড়ি-বারান্দায় একটা চেয়ারে বসে খবরের কাগজ পড়ার ফাঁকে ফাঁকে পাঁচিলের ওপর চোখ রাখে। বিট্টু একবারও চেষ্টা করে নি, কারণ তার মা হর জেঠুর বাড়িতে দুবেলা বাসন মাজার কাজ করে। ইন্দু জেঠি সময়ে সময়ে বিট্টুকে ডেকে হাত ভর্তি ফল ও এটা সেটা দেয়। তাছাড়া তার মা প্রায় প্রতিদিনই গাছতলায় পড়ে থাকা পড়তি-ঝড়তি কাঁচা আম এনে বাড়িতে ডাল রান্না করে।
বাংলা সাহিত্য - অনলাইন বাংলা ম্যাগাজিন