Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2019

রাজার জন্ম। সুজন ভট্টাচার্য-এর ছোটগল্প।

সুজন ভট্টাচার্য - হুম! নিতাই, চলবে। নকুল মাস্টার ঘাড় নেড়ে বলেন। চেহারাটা মানানসই; বাকিটা আমি পড়িয়ে নেব। আক্রমপুর বাজার সমিতির উদ্যোগে জন্মাষ্টমীর রাতে বাজারের পাশের মাঠে হবে যাত্রাপালা ‘কুরুক্ষেত্র’। এ বছরই প্রথম। ফলে বাজারের পাকা দোকান আর হাটচালার সকলেরই প্রবল উৎসাহ। মাসদুয়েক আগে সারের দোকানের নিতাইদাই প্ল্যানটা বাৎলায়। দত্তপুকুরে সম্বুন্ধির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে এমন এক এলাহি ব্যাপার দেখে তারও মগজে খেলে যায়, ওরা পারলে আমরাও পারব না কেন! ব্যাস! খুঁজেপেতে বড়বড়িয়ার নকুল মাস্টারকেও যোগাড় করে ফেলা হল। সে নাকি এককালে অনেক পালা করেছে। সেই হল মাস্টার; বাকিদের তালিম দিয়ে শিখিয়ে-পড়িয়ে নেবে। এমনিতে গদাধরের যাত্রা করার কোন ইচ্ছে ছিল না। সবজির দোকান চালায় বলে অনেক ভোরেই ওকে উঠতে হয়। রাতজেগে মহলা দিয়ে ভোরে ওঠা খুব কষ্টকর। তাই ও আর ঐদিক মাড়ায় নি। কিন্তু এক রোববার নকুল মাস্টারকে নিয়ে নিতাইদা ওর চালায় এসে হাজির। নকুল মাস্টার ওকে যে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে, স্পষ্ট বুঝতে পারে গদাধর। ব্যাপারটা কি! - অ্যাই গদা, ইদিকে আয়। নিতাইদা হাঁক পাড়ে। হাজার হলেও পয়সাওলা লোক; তারপর বয়েসেও অনেক