Skip to main content

রাজার জন্ম। সুজন ভট্টাচার্য-এর ছোটগল্প।

সুজন ভট্টাচার্য

- হুম! নিতাই, চলবে। নকুল মাস্টার ঘাড় নেড়ে বলেন। চেহারাটা মানানসই; বাকিটা আমি পড়িয়ে নেব।

আক্রমপুর বাজার সমিতির উদ্যোগে জন্মাষ্টমীর রাতে বাজারের পাশের মাঠে হবে যাত্রাপালা ‘কুরুক্ষেত্র’। এ বছরই প্রথম। ফলে বাজারের পাকা দোকান আর হাটচালার সকলেরই প্রবল উৎসাহ। মাসদুয়েক আগে সারের দোকানের নিতাইদাই প্ল্যানটা বাৎলায়। দত্তপুকুরে সম্বুন্ধির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে এমন এক এলাহি ব্যাপার দেখে তারও মগজে খেলে যায়, ওরা পারলে আমরাও পারব না কেন! ব্যাস! খুঁজেপেতে বড়বড়িয়ার নকুল মাস্টারকেও যোগাড় করে ফেলা হল। সে নাকি এককালে অনেক পালা করেছে। সেই হল মাস্টার; বাকিদের তালিম দিয়ে শিখিয়ে-পড়িয়ে নেবে।

এমনিতে গদাধরের যাত্রা করার কোন ইচ্ছে ছিল না। সবজির দোকান চালায় বলে অনেক ভোরেই ওকে উঠতে হয়। রাতজেগে মহলা দিয়ে ভোরে ওঠা খুব কষ্টকর। তাই ও আর ঐদিক মাড়ায় নি। কিন্তু এক রোববার নকুল মাস্টারকে নিয়ে নিতাইদা ওর চালায় এসে হাজির। নকুল মাস্টার ওকে যে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে, স্পষ্ট বুঝতে পারে গদাধর। ব্যাপারটা কি!

- অ্যাই গদা, ইদিকে আয়। নিতাইদা হাঁক পাড়ে। হাজার হলেও পয়সাওলা লোক; তারপর বয়েসেও অনেকটাই বড়। গদাধর তাই চট ছেড়ে উঠে আসে।

- ওরে গদা, তোর দেখি কপালে জোড়া-চাঁদ! নিতাইদা হাসতে হাসতে বলে। মাস্টারমশাই ইস্থির করেছেন, তোরে দে দুযযোধনের পার্ট করাবেন। নে, নে, পায়ের ধুলো নে!

গদাধর হতভম্ব হয়ে যায়। কি বলবে বুঝে পায় না। ওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই নকুল মাস্টার বলেন,- আজ রাতেই চলে আসবে। কোন চিন্তা নেই তোমার; আমি আছি। এই বলেই হনহন করে তিনি হাঁটা লাগান।

তবে যে যাই বলুক, প্রথমদিকে খানিক আড়ষ্টতা থাকলেও, আস্তে আস্তে গদাধর দুয্যোধনের পার্টটা কিন্তু বেশ ভালই ধরে ফেলেছে। নকুল মাস্টার খুব খুশি।

- হু হু বাবা, কেমন বেছেছিলাম বল! নামেও গদাধর, ষ্টেজেও গদাধর। কেমন গদা ঘোরাচ্ছে বলদিকিনি?

কাল রাতে বাড়ি ফেরার পথে একথা-সেকথার ফাঁকে হঠাৎ বলেন,- বুঝলে বাবা গদা, ঠিকঠাক যদি করতে চাও দিবারাত্র নিজেকে দুর্যোধন বলেই ভেবে যাবে; সে তুমি ঘরেই থাক, আর দোকানে। তাহলেই দেখবে তুমি আসর মাত করে দিচ্ছ।

কথাটা গদাধরের মনে ধরে গেল। সত্যিই তো! দোকানে বাবু হয়ে বসে ক্রমাগত আড়াইশো ভেন্ডি মেপে চললে কি আর রাজোচিত হাবভাব আসে! এমনিতেই মাঝরাতে বাড়ি ফিরে ঘুমটাও ভাল করে আসে না। মহলার চক্করে মাথায় খালি পান্ডব আর কুরুক্ষেত্রর কথাই ঘোরে। নকুল মাস্টারের পরামর্শে আরো বেশি করে সেই ভাব মাথায় গুঁজে গেল। ভোরবেলা উঠেই দোকানে গিয়েও সেই চক্কর মাথা থেকে যেন আর যায় না। চারপাশে দেখে গদার মনে হল, এ যেন তার লাউ-কুমড়োর দোকান নয়; এ হল হস্তিনাপুরের রাজসভা। যাবতীয় আলু-পটল একেকজনা যেন ভীষ্ম-দ্রোণ-বিদুর। বুড়ো দেবেন মণ্ডল লাঠিহাতে ঠুকঠুক করে ইতিমধ্যে ওর দোকানে এসে হাজির।

- ও গদা, গোটাপাঁচেক লেবু দে দেখি।

দেবেন মন্ডলের ফুরফুরে সাদা দাড়ি সকালের হাওয়ায় উড়তে দেখে গদাধরের মনে হল, আরে এ যে পান্ডব-পুরোহিত ধৌম্য; পাণ্ডবদের জন্য পাঁচটা গ্রামের অধিকার চাইছে। আর তৎক্ষণাৎ তার মাথায় রক্ত চড়ে গেল। সটান বলে দিল,- বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচগ্র মেদিনী।

দেবেন মণ্ডল হাঁ করে চেয়ে রইল ওর দিকে। খানিকবাদে বলল,- ঘাট হয়েছে বাপ! আর যুদ্ধু করে কাজ নাই। তোর লেবু তুই নিজেই চটকা। আমি বরং পরির দোকানে দেখি।

এতক্ষণে গদার কানে যেন জল ঢুকল। কেলেংকারি হয়ে গেল! সকালবেলার প্রথম খদ্দের! এভাবে চলে গেলে গোটাদিন কি হবে কে জানে। তাই লাফ দিয়ে উঠে দেবেন মণ্ডলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। হাতজোড় করে বলে,- ভুল হইগেছে জ্যাঠা! চল, লেবু নেবে চল।

লেবু নিয়ে দেবেন মণ্ডল বিড়বিড় করতে করতে চলে যায়। গদাধর হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। যাক বাবা! সামলে নেওয়া গেছে। এবার থেকে সাবধানে থাকতে হবে।

- ও গদা! একগাল হেসে পোস্টাপিসের পিওন আকবর সামনে এসে দাঁড়ায়। বলি, কোন যুদ্ধু ছাড়াই কি তোর এখেনে আলু আর প্যাঁজ পাওয়া যায়?

- বাজে কথা বোলো নি। কি কি নেবা বল। গদা আটকে দেয়।

- সেকিরে! এই না তুই দেবেন মণ্ডলরে যুদ্ধু না করলি লেবু দিবি না কয়েছিলি! তা সে বুড়োহাবড়া বলি তারে যুদ্ধু করতি ডাকবি; আর আমারে ছাড়ান দিবি, এ কেমন কথা!

- আরে ছাড়ো না! একটা কথা বলে ফেলেছি তো কি হয়েছে? তোমরা অমন কথা বলে ফেলো না?

- আরে, আমরা হলুম সাধারণ মনিষ্যি! আর তুই রাজাবাদশা বলি কথা! আকবর হাসতে হাসতে চলে যায়। বোঝাই গেল, মাল কেনবার জন্য ও আসে নি, স্রেফ পিছনে লাগতেই এসেছিল।

এরপর থেকেই যে পারল সেই এসে যুদ্ধ-প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা মেরে গেল। বোঝাই যাচ্ছে, ঘটনাটা পুরো বাজারে রাষ্ট্র হয়ে গেছে। গদার মাথা গরম হতে সময় লাগল না। দোকান ফেলে সোজা চলে গেল নিতাইদার সারের দোকানে। আর যাত্রায় অ্যাক্টিং করবে না ও। পরিষ্কার জানিয়ে দেবে। কিন্তু গিয়ে দেখে দোকানে বেশ ভিড়। এতলোকের সামনে বলা যাবে না। তাহলে আরো লোক-জানাজানি হয়ে যাবে। অগত্যা গদা এককোণায় দাঁড়িয়ে থাকে।ভিড় আর কমেই না।

- কি গো দুর্যোধন, কি বা প্রয়োজন পিতামহের বিপণিতে?

ঘুরে একটা রদ্দা লাগাতে গিয়ে গদাধর দেখে নকুল মাস্টার মিটিমিটি হাসছেন। অ্যাক্টিং আর করবে না, এই বলতে এয়েছো তো?

- আজ্ঞা, আপনের কথামত চলতে গিয়ে এখন সব্বাই পিছনে পড়েছে। আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমি পারব না মাস্টারমশাই।

নকুল মাস্টার ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে আসেন দোকানের বাইরে। বললেন,- এতেই হয়ে গেল! জাত-অ্যাক্টরের তো এভাবেই দিন চলে গো, দুর্যোধন। দেখেছো, অভিমানী দুর্যোধনের ছায়া তোমার উপর কেমন পড়ে গেছে? এত অল্পেই তুমি ক্ষেপে উঠছো!

গদাধর বুঝতে পারে না, নকুল মাস্টার কোন চাল চালছে। তাই চুপ করেই থাকে।

- এত সহজে ছাড়লে তো হেরে যাবে গো দুর্যোধন! বিনাযুদ্ধে ছেড়ে দেবে রঙ্গমঞ্চভূমি? তুমি না ক্ষত্রিয়?

- কি করি মাস্টারমশাই! দোকান করা তো মুশকিল হয়ে উঠল।

- মাথা ঠান্ডা রাখো। যেখানে বীরত্বপ্রদর্শন মানে অনর্থক সর্বনাশ, সেখানে কৌশল নাও। ভুলে গেলে, জতুগৃহে কি করেছিলে?

- কি বলেন, মাস্টারমশাই? গোটা বাজারে আগুন লাগিয়ে দেবো! আপনার কি মাথা খারাপ হয়েছে?

- মাথা খারাপ হয়েছে তোমার। আমি কি তোমাকে আগুন লাগাতে বলেছি? বলেছি কৌশল অবলম্বন করতে। দোকানে সমস্যা হচ্ছে; তাহলে ঘরে দুর্যোধন হও। দোকান তো রইলই। শো-এর দুচারদিন আগে করলেই হবেখনে। বুঝলে?

এরপরও যদি না বুঝতে পারে, তাহলে ওর দুর্যোধন-জন্ম বৃথা। ঝট করে গদা নকুল মাস্টারের পায়ের ধুলো নিল। তারপর ঘাড় আকাশের দিকে তুলে বেশ ভাব-গম্ভীর স্বরে বলল,- বুঝিয়াছি আচার্যবর, কি করিতে হবে।

গদার মা দুপুরবেলায় পুকুরে ডুব দিয়ে এসে উঠানে ভেজা শাড়ি মেলছিল; সাইকেলের পিছনে ঝাঁকা চাপিয়ে গদা এসে পৌঁছল। গদা, এলি?

মা-র গলা শুনেই গদার মনে হল রাজমাতা গান্ধারী সামনে উপস্থিত। তাই সাইকেল স্ট্যান্ড করিয়ে ও বলে উঠল,- প্রণমি চরণে মাতঃ!

- ও আবার কি ঢঙ করিস বাপ! আমি যে বুঝি নে!!

গদার প্রবল আনন্দ হয়। তার মানে, ও দুর্যোধন হয়ে উঠতে পেরেছে। নকুল মাস্টারের জহুরীর চোখ বলতেই হবে। ওর মধ্যে যে সেই দুর্যোধন ঘুমিয়ে আছে, ঠিক টের পেয়েছেন।

- মাতঃ! জননী, কর্মসমাপনে এইবারে বিশ্রামের ক্ষণ। দেহ অবসর; সকলই বলিব তোমায় উপযুক্ত সময়। 

গদা ঘরে ঢুকে যায়। মা ওর দিকে হাঁ করে চেয়ে থাকেন। চলনবলন আজ যেন কেমনকেমন। এ কি ভাষায় কথা বলে! গদা যখন পুকুরে, মা পুরো ঘটনাটা শাশুরীকে বলে।

- ভয় পেও নি বৌমা। খেতি যখন বসবে, ত্যাখন বোঝা যাবে।

- জননী, স্বত্বর করো ভোজনের আয়োজন। যাবতীয় সবজী লয়ে রাজকার্য চালন, পরিশ্রম বড়।

পিছন থেকে চেনা হাতটা ওর কাঁধে স্পর্শ করতেই গদা টের পেল ঠাকুমাও এসে গেছে। চট করে উঠে বলে,- প্রণমি চরণে তা...; গদা আটকে যায়। ও বলতে চেয়েছিল তাত। কিন্তু তাত তো ব্যাটাছেলেদের বলে। তাহলে ঠাকুমাকে কি বলে? তাতী? দু্য্যোধন হওয়া কি মুখের কথা! কতদিকে খেয়াল রাখতে হয়!

- ও ভাই! ঠাকুমা আদরের সুরে বলে, কি হয়িছে আমারে বলবি নে ভাই? ঠাকুমা ওর বুকে-পিঠে হাত বোলায়। গদা বোঝে, ঠিকঠাক না বলে দিলে ঘরের লোকজনাও ওর সাথে বাজারের লোকেদের মতই ঠাওড়াবে। তাই ও মা আর ঠাকুমাকে সব বলে দেয়।

শুনতে শুনতে ঠাকুমার চোখ দিয়ে দরদর করে জল নামে। নাতিকে জড়িয়ে ধরে ধরা গলায় বলে,- আজ তোমার দাদু বাঁচি থাকলি কি খুশিই না হত! তোমারে তো বলিইছি বৌমা, তোমারে দেখি এসিই তোমার শ্বশুর কয়েছেল, এ মেয়ে রাজার মা হবে। আজ তার সেই স্বপ্ন সাথথক হল গো বৌমা! হোক না গে যাত্রাপালার রাজা, রাজা তো! ও ভাই, তুমি যেমন চাও তেমনি করি চলো।

মুসুরির ডাল দিয়ে ভাত মাখতে মাখতে গদাধর ভাবে, এক রাজার জন্ম হয়ে গেল তাহলে।

----------------

Comments

Popular posts from this blog

আলী হোসেনের ছোটগল্প। এক এক্কে এক।

এক এক্কে এক : ছোট্ট বেলা নামতা পড়ার সময় এভাবেই শুরু করত মান্তু। তখন জানতো না কি এর মানে, কেনই বা পড়তে হয়। মা বলতেন, নামতা হল অঙ্কের মাথা। কিম্বা মেরুদণ্ডও বলতে পারিস। এটা ঠিকঠাক না শিখলে অঙ্ক মেলে না। যখন প্রাথমিক স্কুল ছেড়ে মাধ্যমিকে পৌছেছে, তখন মায়ের কথার মানে বুঝেছে মান্তু। কিন্তু পরিণত বয়সে এসে, আজ বুঝেছে এর অন্য মানে। এটা না জানলে, জীবনের মানেটাই পালটে যায়। মিলতে চায় না জীবনের অঙ্কটাও। মান্তু তখন ক্লাস এইটে। হঠাৎই দুঃসংবাদটা এলো। ক্লাসে সেলাই দিদিমনি, ফ্রেঞ্চনটের গীট ধরে আটকানোর চেষ্টা করছেন। বোঝাচ্ছেন, কিভাবে একে কব্জা করতে হয়। মান্তু কিছুতেই এই গিঁটকে কব্জা করতে পারছেনা। মাথার ওপর বোঁবোঁ করে ঘুরছে পাখা, অথচ ঘামের স্রোতে ভাঁটার টান নেই মোটেও। বাইরের বাতাসে উত্তাপের পারদ নিশ্চয়ই লু-লেবেল ছাড়িয়েছে। বাতাসের শুষ্ক বুকে তরঙ্গ তুলে সে ছুটে চলেছে শরীর জুড়াতে আন্য কোথাও, অন্য কোনখানে। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে চাঁদনি থেকে দোকানের মাল নিয়ে ফিরছিল ফারহাদ। হঠাৎই চরকির মত ঘুরে গেল মাথাটা। পিচ-গলা রাস্তায় আছড়ে পড়লো মস্ত শরীর। পথ-চলতি নজর চকিতে ঘুরে এল ফারহাদের দিকে। কে বলে কলকাতার হৃদয়ে উষ্ণতার অভা

শুভ্রা সাহার ছোটগল্প। লকডাউন।

গল্পকারের কন্ঠে গল্প পাঠ। গল্পের নাম : লক ডাউনের গল্প গল্পকারের কন্ঠে গল্প পাঠ। গল্পের নাম : লক ডাউন গল্পকারের কন্ঠে গল্প পাঠ। গল্পের নাম : লক ডাউনের গল্প আলোচিতা এখন আর আগের মতো বোর হয় না। ঘরে বসেই ছোট বোন সঞ্চিতাকে নিয়ে অনলাইনে গান, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প, বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে সময় কাটিয়ে দেয়। লকডাউন-এ পড়ে কি যে নাজেহাল অবস্থা সকলের! মাত্র কয়েকদিন আগে, দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরেছে সে। তখন তো ওর আসার কথাই ছিল না। হঠাৎ বাবার হার্ট অ্যাটাক হওয়াতেই আসতে হলো। আলোচিতা অর্থাৎ আলো। আর সঞ্চয়িতা অর্থাৎ সঞ্চিতা। ওরা দু'বোন। বাবা বিরাজবাবু স্কুলের শিক্ষক। মা রূপালি দেবী গৃহিণী। আলো দিল্লিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেছে গতবছর। সঞ্চিতা দ্বাদশ শ্রেণীতে। শিক্ষকতা করার সুবাদে আলোর বাবা বিরাজ বাবুর এলাকায় যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। ওদের এলাকায় হিন্দু মুসলিমের সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। বিরাজ বাবুর অনেক মুসলিম ছাত্রও আছে, যারা প্রায়ই ওনার কাছে আসে। বিভিন্ন মতামতের জন্য। বিরাজবাবু বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। সুনাম

সুদীপ্ত ভাস্কর দত্তের ছোটগল্প। ২০২১ : করোনার পরে।

audio testing গল্পকারের কণ্ঠে গল্প পাঠ  ২০২১ : করোনার পরে নদীর জলটা এত টলটলে, পরিষ্কার আগে দেখিনি কোনদিন! পাড়ে বসে একটা মুগ্ধতা নিয়ে স্বগতোক্তি করল অরুণ। বসন্তের আরম্ভে এই মৃদুমন্দ বাতাসটা প্রাণ জুড়িয়ে দিচ্ছিল।। পড়ন্ত বিকেলে নির্জন নদীর তীরে, গাছের পাতার আড়াল থেকে একটা বউ কথা কও মাঝে মাঝে ডেকে উঠছিল। করোনা মহামারী রোধের চেষ্টায় সারা পৃথিবী জুড়ে যে লক ডাউন চলেছিল, তার ফলেই প্রকৃতি এখন দূষণমুক্ত, নির্মল।